আশে পাশের পরিবেশ, মানুষের মানসিকতা, সব মিলিয়ে নিজেকে অসুস্থ মনে হয় আমার। সংবাদ পড়তে গেলেই মাথাটা কেমন জানি ধরে যায়। এক একটা মুখকে মনে হয় মুখোশ। কয়টা মুখোশ খুললে যে আসল মুখ দেখা যাবে তা বোঝারও কোন উপায় নেই।
মানুষের চিন্তা-ভাবনাগুলোও মিথ্যা। বলে একরকম আর করে অন্যরকম। ফেইসবুকে যখন দেখি, যারা সারাদিন নীতি-হীন কাজ করে বেড়ায় তারা সবচেয়ে বড় নীতি-বাক্য ছাড়ে তখন মাথা গুলিয়ে উঠে।
নানান রকম চেতনা ব্যবসায়ে ভরে গেছে চারদিক। আমি যেমন আমার অবস্থানকে সিদ্ধ করতেছি একই রকম ভাবে আর একজন নিজ অবস্থানকে সিদ্ধ করছে। একই জিনিস কারো কাছে ভালো, কারো কাছে মন্দ। তার মানে ভালো-মন্দের কোন স্ট্যান্ডার্ড নেই কিংবা অন্ধ হয়ে যাচ্ছে সবার চিন্তা-বিবেক। চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
অনেক দিন থেকেই আমার খুব কাছের কয়েকজন মানুষ ছাড়া কারো উপরে কোন আশা নেই। তারা কি করলো, কি বললো তাতে আমার তেমন কোন অনুভূতি হয় না। ধরেই নিয়েছি এইসব স্বাভাবিক। স্বপ্রণোদিত হয়ে অন্যের ভালো করার চেষ্টাও দিন দিন ছেড়ে দিচ্ছি। স্বার্থবাদীদের ভালো করে কোন লাভ নেই। তারা শুধু চাইতেই থাকবে। যারা নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু করা যায়, তা না করে অযথা চাইতে থাকে এবং পরিবেশের উপরে দোষ দিতে থাকে এদের থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয় মনে হচ্ছে। এদের জন্য যতই করেন না কেন দিনশেষে গালি দিবে। এইজন্যই এখন অনেক ফ্রিল্যান্সাররাই ফ্রিল্যান্সিং এ কোন রকম সহায়তা করা ছেড়ে দিয়েছে।
দিনশেষে ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজেকে মানসিক রোগী মনে হয়। মনে হয় পাগল হতে আর কত বাকি! চিন্তা-ভাবনাগুলো দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে করতে ঘুমাতে যাই। সকালে উঠেই আবার মিলিত হতে হয় নানান মুখ ও মুখোশের সাথে। তার পরেও আশায় থাকি। বিশ্বাস করি হয়ত অনেক মুখের দেখা পাব। যারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করবে। যারা হয়ত মেঘের মাঝে আলোর হাতছানি দেখাবে।