২০১৮: শেষের শুরু

301
Facebook, not anymore!
Facebook, not anymore!

প্রতি বছরই আমার কয়েকবার করে মনে হয় যে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো (e.g. Facebook) ব্যবহার বন্ধ বা কমানো উচিত। কিন্তু হয়ে উঠে না। এক ধরনের নেশা কিভাবে জানি আকঁড়ে ধরে রাখে। ২০১৭ এর শেষ দিনে আবার বিষয়টা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। আর এইবার মনে মনে পণ করলাম যে এর শেষটা দেখেই ছাড়বো। আর যেহেতু কিছু না কিছু না লিখে থাকতে পারিনা (মনে হয় মনটা মরে যাচ্ছে) তাই নিজের ওয়েবসাইটে লিখা শুরু করলাম। প্রতি ১৫ দিনের লিখা একটা করে আর্টিকেলে থাকবে। অনেকটা ডায়েরির মত। ফেবু ব্যবহার বাদ দিতে হচ্ছে মূলত মানসিক প্রেশারের জন্য। সময় অপচয় থেকেও এটা প্রচুর মানসিক প্রেশার সৃষ্টি করে। ফেইসবুক এবং টুইটার নিয়ে রিসার্চ করতে গিয়ে অনেকগুলো খারাপ দিক খুঁজে পেলাম আমি। মানুষ খুব সহজে এডিক্টেড হয়ে যায়। নয়ত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো খুবই চমৎকার একটা বিষয়। মানসিক প্রেশার কিভাবে সৃষ্টি হয় একটু করে লিখি। একটা হলো একই সময়ে একাধিক রকমের রিয়েকশন (Love, Sad, Cry, Haha, Angry, etc) দেখানো বিভিন্ন পোস্টে। এটা ব্রেইনকে একটা দোটানায় নিয়ে যায়। কোন ইমোশনই আর খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনা আসলে। এছাড়াও, বিভিন্ন দিবস, জন্মদিন, বার্ষিকী, ইত্যাদিতে কিছু লিখা এক ধরণের আবশ্যক মনে হয়। না লিখতে পারলে কেমন যেন একটা প্রেশার কাজ করে। আর এইসবের সাথে ফেক নিউজ, বিভ্রান্তি, নিজের সামাজিক অবস্থা বিচার করা ফেবু দিয়ে, লাইক-কমেন্টের আকাঙ্খা এইসবতো আছেই। সাথে আছে নানান মেসেজের উত্তর দেয়া না দেয়া নিয়ে ঝামেলা। সব মিলিয়ে একটা ভালো প্রেশার এবং একই সাথে সময় নষ্ট হওয়াতো আছেই। মানসিক বিকাশের বদলে কেন জানি মানসিকতা নষ্টের দিকেই চলে যাচ্ছে এমন মনে হয়। তাই আপাতত বিদায় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ।

১ জানুয়ারী: 

গতকাল বিকেল থেকে ফেইসবুক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আপাতত শুধু নিজের কিছু কাজের জন্য (e.g. গ্যালাক্টিকা বা বিজ্ঞান বাংলা) ব্যবহার করবো। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার একদমই বন্ধ করে দিবো যদিনা খুব আর্জেন্ট কিছু হয়। সমস্যা হচ্ছে ফেবুতে লাস্ট একটিভ বলে একটা জিনিস। লগিন করলেই চ্যাটে দেখায় কতক্ষণ আগে একটিভ ছিলাম। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে প্রাইভেসি নস্ট করার মত একটা বিষয়। কেউ মেসেজ দিয়ে না পেলে আমার মন খারাপ বা রাগও করতে পারে। আবার ফেইসবুক সহজে এটা দেখানো বন্ধ করার কোন পথও রাখেনি। খুবই ফালতু একটা ফিচার। সমাধান হিসেবে নতুন একটা আইডি খুললাম এবং পেইজ ও কিছু গ্রুপে ওই আইডিকে এড করে বা এডমিন করে রাখলাম কাজ করার জন্য।

প্রথম দিন মোবাইল হাতে নিলেই একটু পর পর ফেবু এপ যেখানে ছিলো ওইখানে হাত চলে যাচ্ছিলো। যদিও এপটা নাই। হতাশ মনে আবার অন্য কিছু করা শুরু করেছি। পিসি থেকেও একই সমস্যা। অটোই ফেইসবুক.কম এ ক্লিক হয়ে যায়। তবে ভালো যে লগিন স্ক্রিন দেখে কন্ট্রোল করে  আবার ওই ট্যাব কেটে দিতে পারছি এখনও। 😛 দিনটা সত্যিই একটু অন্যরকম লাগা শুরু হয়েছে ফেইসবুক ছাড়া।

২ জানুয়ারী:

ফেইসবুক প্রমাণ করে দিলো যে তাদের ফেইক আইডি ডিটেকশন এলগরিদম অনেক ভালো আগের থেকে। আমার নতুন আইডি ২৪ ঘণ্টার মাঝে ব্যনড করে দিলো। কি আর করা নিজের মেইন আইডিই ব্যবহার করতে হবে কাজের জন্য টুকটাক। তবে ফেইসবুক পেইজ এপ থেকে পেইজ ম্যানেজ করলে লাস্ট একটিভ দেখায় না। এইটা একটা আশার করা। আর একটা দিক হলো, দুইটা ইউআরএল ব্লক করে দিলেও (By using adblocker) ফেবু লাস্ট একটিভ দেখাতে পারেনা। আশা করি আপাতত এইটুকুতে কাজ চলবে।

টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য https://freedcamp.com ব্যবহার শুরু করলাম। ওদের ওয়েবসাইটটা খুব কাজের হলেও এন্ড্রয়েড এপে ফিচার একদমই কম। একদিক থেকে ভালো। আজাইরা মোবাইল ব্যবহার করা দরকার হবে না।

২ দিনেই বুঝে গেলাম যে, ফেবু ব্যবহার না করলে দিনে অনেক বাড়তি সময় পাওয়া যায়। তবে অন্যদের খোঁজ-খবর পাচ্ছিনা দেখে কেমন জানি করে মনে। হয়ত এই জন্যেই এখন নিয়মিত টাকা পয়সা খরচ করে কর করতে হবে আর মাঝখানে সম্পর্কগুলো আরো স্ট্রং হয়ে যেতে পারে।

৩ জানুয়ারী:

ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছাড়ার আগে মোবাইলে কিছুক্ষণ ফেইসবুক, চ্যাট এইসব দেখা হতো। আজকে কি করবো বুঝতেছিলাম না। এর উপরে ছিলো মাথা ব্যথা। যদিও অনেকক্ষণ শুয়ে ছিলাম উঠার পরে। ফেইসবুক না থাকাতে একসময় শুরু করে দিলাম পছন্দের কিছু জিনিস পড়া। আশা করি নিয়মিত বই পড়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে এই সময়টা। 🙂

ফেবু ব্যবহার না করায় কেন জানি মনে হচ্ছে যে মাথা এবং চিন্তাভাবনা আগের থেকে স্বচ্ছ আজকে। আর আজকে দিনে কাজও হয়েছে অনেক। বিশেষ করে এই ওয়েবসাইটা নতুন করে সাজানো হলো সাথে ডোমেইন, হোস্টিংও পরিবর্তন করা হলো। আগামীকালটা কেমন যায় তা দেখার জন্য আপাতত আমি এক্সাইটেড। 🙂

৪ জানুয়ারী:

অনেকদিন পরে আজকে ল্যবে কাজ করার জন্য গেলাম। লস এন্জেলেসে সাম্প্রতিক দাবানল রিলেটেড টুইটগুলো প্রসেস করলাম। বলার মত কোন কিছু হয়নি। কিন্তু ফেবু না থাকাতে মনে হয়েছে ভালো সময় কেটেছে। অবশ্য লক্ষ্য করলাম যে, Procrastination এর একটা স্বভাব আছে আমার মাঝে। মাঝে মাঝে এটা ওইটা করে আজাইরা সময় নষ্ট করার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে। এটাও দূর করতে হবে এই বছরে। ফেবু এর মত এইটাও মারাত্মক ক্ষতিকর।

এই ওয়েবসাইটটা এখন স্ট্যাবল। কিছু সিকিউরিটি সমস্যা ছিলো। এখন আর নেই মনে হচ্ছে। সার্টিফিকেটও ঠিকমত কাজ করছে এখন।

ইয়াহুমেইল থেকে বুঝলাম যে মানুষজন মেসেজ দিচ্ছে ফেইসবুকে। যদিও কিছু করার নাই আমার। যারা মেসেজ দিচ্ছে তারা ইমেইল করলেই হয়। আমার মনে হয় না করবে। ফেইসবুকে যেই জিনিসটা খুব আর্জেন্ট মনে হয় বাস্তবে আসলে ওইটা তেমন আর্জেন্ট কিছুই হয়না বেশিরভাগ সময়। তাই মানুষ ফেইসবুকে আর্জেন্ট বা খুব প্রয়োজন বলে মেসেজ দিলেও কষ্ট করে ইমেইল করবে না। ব্যাপারটাতে এক রকমের সেলফিশনেস এর গন্ধ আছে। 😀

৫ জানুয়ারী:

ফেবু ছাড়া জীবনটা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। মানুষ খুব দ্রুত মানাই নেয়। এইজন্যই বোধহয় বলা হয় যে, টানা ২-৩ সপ্তাহ মানুষ কোন কিছু করলে অভ্যেস হয়ে যায়। আশা করি ফেইসবুকের অভ্যেসটাও নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য এখন আর আগের মত নাই-নাই মনে হয় না। আর মোবাইল কম ব্যবহারের কারণে ঘুমটা আগের থেকে ভালো হচ্ছে। Quora ব্যবহার করা একটু নিয়মিত হয়েছে। হিউম্যন সাইকোলোজি নিয়ে পড়তে সবসময়ই মজা লাগে আমার।

৬ জানুয়ারী:

অনেকদিন পরে বিজ্ঞান বাংলাতে লিখলাম। গত দুই মাস ধরে শুধু নতুন টিমের লিখা রিভিউ এবং মাঝে মাঝে মডিফাই করে লিখছিলাম। আজকে নিজে লিখলাম মেল্টডাউন ও স্পেক্টার এটাক নিয়ে। না লিখে থাকাটা বোধহয় কিছু মুশকিল আমার জন্য। আমি নিজেও নিশ্চিত না যে ফেইসবুক থাকলে সাইটে লিখা হতো কিনা। দেখা যেত, ফেইসবুকেই ৮-১০ লাইন লিখে শেষ করে ফেলতাম।

সেমিস্টার শুরু হয়ে যাবে আবার। প্রফেসর না থাকাতে শুধু ছুটিই কাটিয়েছি। কিছু জিনিস শেখার কথা ছিলো কিন্তু শেখা হয়নি। রুটিন করে ফেলতে হবে একটা।

৭ জানুয়ারী:

আজকে দাওয়াত ছিলো শাহিনের বাসায়। রোলার সকল বাংলাদেশীর। রোলাতে বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ৩০ জন এর মত। সংখ্যাটা ২০-৩০ এর মাঝে থাকলেই ভালো। যে কোন বাসায় দাওয়াতে বা অনুষ্ঠানে সবাইকে একসাথে পাওয়া যায়। কোন গ্রুপ নাই। একসাথে গল্প হয়, মজা হয়। সবাই সবাইকে চিনতে পারে। লাবকে অনেকজন থাকায় সবাইকে চিনতেই পারিনি ঠিকমত। অবশ্য মাঝে মাঝে আমি মিস করি ওখানকার কিছু মানুষজনকে। অল্প সময়েই আপন হয়ে যায় অনেকে।

ফেইসবুক ছাড়া মোটামুটি অভ্যস্থ হয়ে গেছি আমি। তেমন কোন কিছুই আর ফিল হয় না। এত দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাবো ভাবিনি নিজেও। এইবার দেখি সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যেসটা করে ফেলতে পারি কিনা। শুধু দ্রুত ঘুম থেকে উঠা যায়না কোন না কোন কাজ না থাকলে। ঘুম সকালে উঠে বাইরে বের হবো ভাবছি। দেখি জিমে যাওয়া শুরু করা যায় কিনা একদম ভোরে।

৮ জানুয়ারী:

জিমে যাওয়া শুরু করলাম। অবশ্য মেশিনে এক মাইল দৌড়ের পরই হাপিয়ে গেছি। নিয়মিত হতে পারলে হয়ত অবস্থার কিছু উন্নতি হবে। তবে জিমের অবস্থা যাই হোক, সকাল ৭টার দিকে জিমে যেতে হলে আরো আগে ঘুম থেকেই উঠতে হবে। ঘুম থেকে উঠাই মূল বিষয়।

৯ জানুয়ারী:

অন্য সব দিনের মতই যাচ্ছে। আমার সুপারভাইজরকে এই ছুটিতে কি করলাম তার একটা রিপোর্ট করলাম। ইভা আর আমি মিলে একটা বালিশ কিনেছি। পরীক্ষামূলক ভাবে। ওইদিন হঠাৎ করে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম যে, ঘুমানোর জন্য ভালো বালিশের গুরুত্ব কতটুকু। দেখা যাক বালিশ আসলেই কতটুকু গুরুত্ব পালন করে। ৬০ ডলারে কেনা বালিশ! যদি ভালো না লাগে ফেরত দিয়ে দিবো। ৩০ দিনের ট্রায়াল আছে। ৩০ দিনের মাঝে যদি মনে হয় যে আসলেই কোন কামের না, অন্য বালিশের মতই; তাহলে কোম্পানী ফেরত নিয়ে নিবে। বড়ই অদ্ভুত!

১০ জানুয়ারী:

চুল কাটলাম। এখানে আবার সব মহিলা নাপিত। চুল কাটা এইখানে মোটেই ছোটখাটো কাজ না। এক একজন এরা হেয়ার স্পেশিয়ালিস্ট নাকি। আজকে যে চুল কাটতে আসলো, তারে বললাম যে তোমার মত করে কাটো। বেজায় খুশি সে। নিজের মত করে নাকি চুল কাটার কোন সুযোগ পায় না। যদিও কিছুই করছে বলে মনে হয় নাই আসলে। যেমন ছাট ছিলো আগে থেকেই তেমনই আছে। শুধু ছোট করে দিছে একটু। 😀

আজকে অনেকদিন পরে একটা সুন্দর কার বা মটরসাইকেল কার দেখলাম। এক মহিলা এবং যতটুকু সম্ভব তার বাচ্চা। আমি ইভা কিছুক্ষণ অনুসরণ করলাম। পিছে পিছে গিয়ে তাদের বাড়িও দেখে আসলাম। গাড়িটা পাশের ছবিটার মতই। হেলমেট পড়া বাচ্চা আর চালকরে জোস লাগছিলো। গাড়ির প্রতি আমার তেমন কোন আগ্রহ নাই আসলে। আজকের গাড়িটাই এই জীবনে প্রথমবার খুব আগ্রহ নিয়া দেখলাম।

১১ জানুয়ারী:

ফেইসবুক ব্যবহার না করলে কিভাবে জীবন পরিবর্তিত হতে পারে এইটা নিয়ে Quora তে উত্তর দিলাম। নিজের গত কিছুদিনের অভিজ্ঞতা থেকে। ফেইসবুক না থাকাতে নিজের ওয়েবসাইট এবং Quora তে আগের থেকে বেশি একটিভ হয়ে গেছি। ব্যাপারটাকে ভালো হিসেবে নিচ্ছি আমি। ফেবু থেকে অনেক প্রোডাক্টিভ। যদিও এইটাও প্রোক্যাস্টিনেশনের কারণ হচ্ছে। অলসতা বা কাজ ফেলে রাখার বিষয়টার জন্য একটা সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। নিজেকে বুস্ট আপ করার মত কিছু একটা লাগবে।

বিজ্ঞান বাংলা নিয়েও ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা করতে হবে। ভাবতে ভালোই লাগে কিন্তু মাঝে দিয়ে পিএইচডির ১২টা বেজে যাচ্ছে এই আর-কি!

১২ জানুয়ারী:

অ্যামাজন কিন্ডল এর সাবস্ক্রিপশন নিলাম। আপাতত ফ্রি এক মাসের জন্য। দেখি কিছুদিন নিয়ম করে বই পড়া যায় কিনা। 23 Anti-Procastination Habits দিয়ে শুরু করলাম পড়া। যদি কিছু হয় এই আশায়। ল্যাবে ছিলাম অনেকক্ষণ। বন্ধের মাঝে আজকেই সবচেয়ে বেশি সময় থাকা। কাজ খুব আহামরি কিছু হয়নি। কিন্তু তাও ভালো। অভ্যেস হচ্ছে। ভাবছি নিয়মিত খোলার দিনগুলোতে ৯টা-৫টা ল্যাবে কাটাবো।

আজকে হঠাৎ মনে হলো এই যে নিয়মিত ডায়েরির মত করে লিখছি এর আল্টিমেট রেজাল্ট কি? পরে মনে হলো যে, সবসময় কি পাইছি বা কি অর্জন করছি তা মনে থাকে। কিভাবে করেছি তা মনে রাখিনা লিখেও রাখিনা। এইটা অন্তত ওইটাও ট্রাক রাখবে যে কবে কি করছি। অনলাইনে লিখছি কারণ লিখার অভ্যেসের সাথে সাথে অন্যরাও জানতে পারবে যে, জীবনে ভালো খারাপ সব সময়ই আসে এবং একই সাথে চেষ্টা করে যাওয়া লাগে।

১৩ জানুয়ারী:

Quora digest এর নোটিফিকেশন পেলাম। আমার লিখা উত্তর ২০০০+ মানুষের কাছে ইমেইল করা হয়েছে। ইন্টারেষ্টিং বিষয়। Quora অনেক নতুন আইডিয়া ইমপ্লিমেন্ট করছে কনটেন্ট এর উপরে।

রুটিন মেইনটেন করাটা কঠিন কাজ। একটা কিছু শুরু করলে আর একটা কিছু নষ্ট হয়ে যায়। টাইম ঠিকমত ম্যানেজ করা সম্ভব হয়। কোথায় জানি পড়েছিলাম যে, টাইম ম্যানেজমেন্ট বলে কিছু নাই, যা আছে তা হলো সেলফ ম্যানেজমেন্ট। এই জায়গাটাতেই বার বার আটকে যাচ্ছি।

১৪ জানুয়ারী:

Rolla তে ২য় বারের মত স্নো-দেখলাম। মাঝে আরো হয়েছে কিন্তু আমি আর ইভা ছিলাম না। স্নো জিনিসটা মজার, দেখতে ভালো লাগে। বৃষ্টির মত কিন্তু শব্দ দেই। হালকা, সাদা একটা জিনিসও অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে গেলে যে বিপদ নিয়ে আসতে পারে তা স্নো দেখলে বোঝা যায়। অবশ্য আমার ভালোই লাগে। সবদিকে শুভ্র সুন্দর!

ডক্টর-হু দেখে মজা পাইছি। আজকে দিনে অনেকবার দেখা হইছে। অবশ্য আপাতত আর দেখা হবে না। কিন্তু আইডিয়াগুলো মজারই। আর ইউকে এবং ইউএসএ এর সাই-ফাই সিরিয়ালের আবহটাই আলাদা রকম। না দেখলে হুট করে আলাদা করা যাবে না।  😛

১৫ জানুয়ারী:

দেশে আজকে আমার জন্মদিন। দেশে জন্মদিন বলতে আসলেই আরো এক বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। আম্মা বললো যে আমি নাকি রাত ৩.৩০ এ দুনিয়াতে আসছি। মায়েদের কাছে বিষয়গুলো খুব অদ্ভুত!

ঘুমের বিষয়টা নিয়ে ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ব্যবহার না করেও লাভ হচ্ছে। সকালে শুধু ঘুমাইতে ইচ্ছে করে। কেমনে যে এটার সমাধান হবে আল্লাহ জানে!

ফেইসবুকে অনেক উইশ পাচ্ছি। শুধু ইমেইলে নোটিফিকেশন। অফ করে রাখা দরকার ছিলো। মানুষজনকে উত্তর দেয়া দরকার। একটা দোটানায় পড়ে গেলাম। ভাবছি ওয়েবসাইটে একটা পোস্ট লিখে শেয়ার করে দিব।

Comments

comments